Showing posts with label সব্যসাচী পন্ডা. Show all posts
Showing posts with label সব্যসাচী পন্ডা. Show all posts

June 26, 2022

সব্যসাচী পণ্ডা

 লগ্ন


 লগ্নের কথা ভাবিনা আর,শুধু বলি থাকো

থাকো অনন্ত কাল

আমারই মেধায়,আমারই চেতনায়।

এই মন্ত্র বল,অযুতের নিজস্ব ছায়ায়

তারই সাধনায়

নিভৃত যাপনের গান, নিশানায় বাঁধা থাক সেই অবসর


থাকো থাকো থাকো,এই কথা বলে শুধু আমার শুদ্ধ স্বর।



February 27, 2022

সব্যসাচী পণ্ডা

 আততায়ী

 

তোমার দুচোখে স্থির অপলক মায়া

যেন অনন্ত সন্ধানে ভেসে গেছে সব 

দুএকটি চুলের দীর্ঘ ক্লান্তিহীন যাতায়াত সে মুখে

সরিয়ে দেব ভাবি কতবার।...


এ হাত আততায়ী,অপরাধী, এই ভেবে সরিয়ে নিই বারংবার।




∆ ৩০ জানুয়ারি,২০২১।১৬ মাঘ,১৪২৮।রবিবার।সন্ধে ৭.৪০টা।পাঁচমুড়া,বাঁকুড়া।

January 30, 2022

সব্যসাচী পণ্ডা

 পূর্ণিমা

  

যেভাবে তুমি আলোর ভাষায় কথা বল

তা আমি জেনেছি কিছুদিন।

তোমার কথায় এক দৃষ্টি অতীত জাদু আছে

চাঁদ জানে সে রহস্যের ডাকনাম...


আজ আকাশে হাতের নাগালে চাঁদ

আমি চাঁদ ধরব বলে মধ্যরাতে ছাদে উঠলাম।



October 10, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 পরিচর্যা

    

অদৃষ্ট মানিনা,জানি আলোর বিপ্রতীপে আঁধার...

তোমার হাতের মুদ্রাটুকু জানি

হিজিবিজি স্খলিত রেখার সম্ভার।

যে হাতের ছোঁয়ায় জেগে ওঠে 

রোদ আর কোমল সুর বাহার...


কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে ভীষণ 

তোমার কচুপাতায় জমেছে কি জল

তোমারই পরিচর্যায় স্বাধীন অথচ টলমল!



August 29, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 বিদ্ধ

    

আমার বুকের মধ্যে বিঁধে আছে ছুরি আমূল 

রক্তে ভেসে যাচ্ছে যাক... হৃদি

আমি তুলবো না তাকে কিছুতেই

যতদিন না হে পৃথিবী তোমায় সুস্থ হতে দেখি।




June 30, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 ঈশ্বর

    

শীতের কুহক কেটে গেছে সবে

কদিন হল বৃষ্টি এসেছে পাহাড়ে,অসমতল ঢালে

অসম্পূর্ণ লাফ তবে সমাপন করা যেতে পারে।


অতল আহ্বানে 

ধড়াচূড়া খুলে ফেলে, মায়াকাজল মুছে ফেলে

দিই তবে লাফ 


গড়াতে গড়াতে যদি সিদ্ধির প্রলোভনে একবার 

দেখা পাই তাঁর।




May 30, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 ফেরা 

   

চলো এইবার দস্যুতার গল্প লিখে ফেলি

ইঁট পাথরের ইমারতে।

প্রতিটি ইমারতের পচন আর ক্ষত থেকে

হাইড্রেনের ময়লা মাখা জল থেকে দাঁড়াই কিছু দূরে।

চলো এইবার তুলে ফেলি গাছের গায়ের সমস্ত পেরেক

আমাদের ভেতরে রয়েছে যে ছোট্ট কড়ে আঙুল 

চলো তাকে সযত্নে বাঁচাই আবার।


এই তো সময়,

চলো এইবার সব ছেড়ে ছুড়ে পুনরায় গ্রাম দেশে ফিরে যাই।




March 28, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 ধরিত্রী


তারপর যদি জন্ম পাই আরো একবার

যেন জন্মের সারল্য

তোর বক্ষে ঢুকে যাব

শ্বেত শুভ্র সুডৌলে চুপ করে বসে রব

স্বল্প আনত।


প্রজনন ক্ষন পার করে

তোর সকল সন্ততি

প্রথম কান্নার আলোড়নে আমাকেই তারপর 

চুষে চুষে খাক...পুষ্ট হোক....


এবং মানুষের মত মানুষ হোক।









February 28, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

 ফুঁ

জায়মান বলে নেই কিছু
চলে গেছে দীর্ঘ সময় ছায়াময় কাল
চলমান নীরবতায় লেগে আছে কোমল বাতাস।
দিনগুলি এমনি এমনি চলে গেল 
একবার শুধুমাত্র নিঃশর্ত ক্ষমায় চোখ তুলে চাও 

তারপর সব অভিমান ভুলে
এসো বসন্ত বাতাস হয়ে...অন্তরে ফুঁ দাও।




January 30, 2021

সব্যসাচী পণ্ডা

শরশয্যা

মীমাংসা চাইনা।কেন আমাকেই আঘাত করল না
সহস্র তীর,
কেন মাটির উপর ভাসমান নয় আমার হৃদি,
কেন জিহ্বা স্পর্শ করল না সুরধুনী বারি?
মীমাংসা চাইনা।
শুধু জানি
তুমি যে শরশয্যা পেতেছিলে যুদ্ধ শেষের বাসনায়
তার পাশে প্রেমের মালা হাতে
আমি তোমারই সম্মান রক্ষাকারী।

কমল দলিনী
    
তবে কি অপেক্ষারা আরো বেশি দীর্ঘ হবে
আশ্চর্য বাগানে আরো কিছু দেরিতে ফুটবে ফুল
কমল আর কমলদলিনীর রোদ পোড়া বিকেলে
জামরুল শাখে আরো কিছু বন্য দিনের ছুটি...
এসো অপরূপ,আমার সকল খেলায়,সকল ভালোবাসায়
অজস্র বার স্বর্ণমুদ্রার মতো তোমাকেই গুনি।



December 27, 2020

সব্যসাচী পন্ডা

প্রেমপত্র


শীতের পাতার মত উড়ে আসে চিঠির অক্ষর।
মেঘে মেঘে যেটুকু বেলা ছিল তাও ডুবে গেল
সূর্যাস্তের পর।

তারপর সান্ধ্য আগুনে
আমরা সেঁকেনি ভালোবাসা,সঞ্চারিত ওম

শরীর জাগার আগেই
প্রেম বিলোয় শিলাই এর ঢেউ।







November 29, 2020

সব্যসাচী পন্ডা

অপাপ

ঘৃণা লিখিনা আর...
লিখিনা অক্ষরে অভিশাপ।
বিষাদ লিখি না আর...
লিখিনা হৃদয়ের সংহার।
ব্যথার আবহটুকু  করিনা রচনা আর...
লিখিনা কষ্ট... যাতনা পদ্য।

হে প্রেম,তোমারই অমলিন কিরনে
আমি অপাপ বিদ্ধ



October 25, 2020

সব্যসাচী পন্ডা

 সঞ্জীবনী

শুশ্রূষায় ফিরে আসি বারবার।
পড়ন্ত বিকেলে মন খারাপ ঝরে পড়ছে অস্তরাগে।
তবুও তুমি দাঁতে দাঁত চেপে
আলোবাতির কাছে নত করেছ মাথা
তোমার ভরাট খোঁপা থেকে ঝরে পড়ছে গান
আর আমি সুধা ভেবে
আঁজলা পেতে সযতনে তুলে নিচ্ছি সেসব।

September 06, 2020

সব্যসাচী পণ্ডা

 তারাদের কথা


আসলে এসব তারাদের কথা।

আমি যদিও শুনিনি,তবে ঝিণ্টি শুনেছে।

সে এই কদিন ধরে ছাদে  অথবা স্কুলের মাঠে গিয়ে দাঁড়ায়

তারপর তারাদের কথা শুনে।

ঋতা বলছিল এসব ওর পাগলামি।


একদিন রাতে আমাকেও সে নিয়ে গেল ছাদে।

কিছু মানুষ তখনও বড় রাস্তায় চুপ করে ঘুরছে।

আসলে এরা সব খুঁটে খায় 

আর সব মেনে নেয় ভাগ্যের দোষ...

ঝিণ্টি একমনে তারাদের কথা শুনছিল।

আমিও চেষ্টা করলাম কান পেতে আর মন পেতে।


সেই রাত থেকে আমরা দুজন অর্থাৎ আমি আর ঝিণ্টি

ক্রমশ মেরুদণ্ড খুঁজছি

প্রতিবাদী হব বলে,

কেননা ভাগ্যদোষ মেনে নিয়ে চুপচাপ খুঁটে খেতে

আমাদের আর ভালো লাগছে না।

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...