April 25, 2021

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

 তিনটি কবিতা

১৪২৮

আমার অক্ষরগুলি থেকে,
নিঃস্তব্ধতা চুঁইয়ে পড়ছে,
টুপটাপ শব্দের মতোই,
ঝরে পড়ছে মাটির উপরে,
একলা হয়ে ঝরতে থাকা,
বৃষ্টিফোঁটার শব্দের মতোই,
এই শব্দেরও একটা মানে আছে,
একটা ডাক আছে,
রংবেরঙের একেকটা ছন্দ আছে,
বারান্দায় সাজানো কাঁচ-বোতলগুলোর মতোই,
আমার অক্ষরগুলি থেকে নিঃস্তব্ধতা চুঁইয়ে পড়ছে,
টুপটাপ শব্দের মতোই,
যেখানে দারুণ একটা সময়,
অলক্ষ্যে প্রবাহিত,
নির্বাসনে থেকেছি অনেক দিন,
এবারে কখনো সূর্যের মতোই,
ভোর হয়ে আসবে,
সকাল হয়ে আসবে,
আমার কলম নামিয়ে রাখবো,
অবাক হয়ে দেখবো,
এই পৃথিবীর আলোয়, রূপোলী ভবিষ্যৎ!

ফুল

যা কিছু ভেবেছিলাম,
অথবা ভেবেছি এখনও,
সরিয়ে রেখেছি সব,
নিশীথ রাত্রিতে,
গুহার কন্দরে, আগুন জ্বালাবো,
সকলের অগোচরে,
একাকী আজ,
চকমকি পাথর এনেছি,
অদূরে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত,
জাহ্নবী করুণার মতো,
আমিও গৃহে বন্দী আজ,
ঝকঝকে শুভ্রতা,
বৈদ্যূতিন আলোতে হঠাৎ,
মনে পড়িয়েছে,
এ শহরে নতুন বছর,
নতুন বছর এসেছে,
একমুঠো ফুল হয়ে,
অঞ্জলী দেবো,
সহস্র বছরের তরুটিকে,
যার নাম ভালোবাসা,
যার নামে সভ্যতা অক্ষয় হয়ে বেঁচে আছে।

খবর

প্রতীক্ষা করে আছি,
সময়ের অপেক্ষায়,
দুরন্ত শহর দেখেছি,
তোমার দুচোখে,
স্তব্ধ হয়েছিল,
সেই বিকেল,
বৈশাখী গোধূলিতে,
সবকিছু শুরু হয়েছিল,
আমাদের আলাপ,
বিচ্ছেদ,
আমাদের সবকিছুই।

এখন কেবল সময়ের মতো পড়ে থাকা,
একফালি হাসি,
নিজস্বতা,
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সময়,
আমি এখন অফিসে যাই।
আমার আগুন শহরকে দিয়েছি।
আমার বারান্দা সাজিয়েছি,
চেনা অচেনা সমস্ত কবিতাতেই, প্রতিক্ষণ।






No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...