কবিতা ১
যেভাবে ঠিক যেভাবে
যদি ভিজে যাওয়া ব্যাকরণ হয় তবে সেই
বইএর ‘অ’ থেকে চাঁদ অবধি পড়বার পরেও
অমুক আর তমুকের ঝগড়া মিটল না।
এই যে অনাবিল একাকিত্ব ঘাড় থেকে নেমে
যায় তাসের বোঝা আর রোজরোজ বেড়া ভাঙার
গান শোনায় অকৃতদার সন্যাসি,
তাদের দেখেই হৃৎপিণ্ড নিঃস্ব হয়,
ফুসফুসের ভেতর প্রদাহ মানেই কারো
কারো উনিশ পোয়া।এইবার ভূত নামুক
ভেতরের স্রোতগাছ থেকে খসে যাক পাতার দেহ
ভোরবেলা কলতলায় লাইন পড়ে থাকে।
কবিতা ২
না হয় মৃত্যু অন্ধকার
আবার অন্ধকার, চিরকুটে মৃত্যুদাগ, গলা অবধি ভেঙে
যাওয়া ধ্বজাভাঙা মেরুদণ্ড, পাশে শুধু বেঁচে থাকবে
যদি মৃত্যু আজ অবধি না এসে থাকে।
কিছুটা একাকিত্ব এখনো ছড়িয়ে পাতা ঢাকা চেনা রাস্তায়,
ছবি নেই তোলা নেই ক্ষতিপূরণের কোন সমীকরণ।
তবুও স্লোগানের মাঝে জেগে থাকা চারাগাছ
পালা করে জলের অপেক্ষায়।
আশা আছে কাজ হবে আজকের দিন কেটে
গেলে, কাল থেকে জমকালো ভোর।
কবিতা ৩
বদলের বদলে যাওয়া
বদলে যায় মানচিত্র, পুকুরের পাশ থেকে
উঠে আসা সেদিনের স্রোত বিহীন স্মৃতিপথ
তাকে ছুঁয়েই আজকের ইতিহাস।
কিভাবে বদলাবে, ভুল বুঝে কিভাবে বদলালো?
রাস্তাঘাট পেরিয়ে এড়িয়ে যাওয়া যাবে?
ঐখানে ভাঙা বাড়ি, ঐখানে নদীতে মাঝ ভাঙা মানুষ।
এখন, মাটি মানে কাঠখড় রঙ ও কাটাকুটি।
বদলে যায় অথচ হৃৎপিণ্ডে কাঁটা লাগে।
কাঁটা তারে আটকে আছে হাত,
এমনই কি স্বপ্ন ছিল অথবা অন্ধকারের আরেক প্রপাত।
No comments:
Post a Comment