Showing posts with label গোলাম রসুল. Show all posts
Showing posts with label গোলাম রসুল. Show all posts

April 25, 2021

গোলাম রসুল

 মেঘ বৃষ্টি ঝরিয়ে কি গান গায় আমাকে ঘিরে


যে জলধারা বয়ে যায় সন্ধ্যায় তাই দিয়ে 
আমি লিখি
জলের সাগর
উত্তাল হয়েছে ডাঙা

আমি সেই দ্বীপ 
ভেসে যাই চাঁদের মতো

সংগীতের সুরের মতো মেঘ বৃষ্টি ঝরিয়ে 
কি গান গায় আমাকে ঘিরে
যদি ওই বৃষ্টির ফোঁটা মাটি থেকে হাত 
বাড়িয়ে আমাকে ডেকে নিত
মাটির ভেতরে আপন করে রেখে  দিত 
আমার হৃদয়

জলময় ঝিঁঝিঁ পোকা
জোনাকির আলো
শেষ হারা কত নির্ঝর
কিভাবে পেতে সেই একটুখানি বুক
যার  ওপর দাঁড়িয়ে ওই বিশাল আকাশ







         

February 28, 2021

গোলাম রসুল

 নৌ অভিযান

সন্ধ্যায় শীতের চাঁদ মনে করিয়ে দিলো আমাদের সেই নৌ অভিযানের কথা
আর  প্রথম থেকে এই অবধি আমরা কিভাবে ভাসছি

দুঃখকে  লুকিয়ে রাখার জন্য তুমি যে পাহাড় দেখিয়ে দিয়েছিলে আমি সেভাবেই আছি
সামান্য একটা গোড়ালির মতো

এখন রাতের তারারা আমাদের নিয়ে যাবে সেই বিশ্বাসের দিকে
আবার ফিরিয়ে দেবে স্বপ্নের মধ্যে
ঠিক যেভাবে আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম জীবন

আমরা অদৃশ্য হয়ে যাবো সেই সব ভালোবাসাগুলোর মতো যেগুলো বানিয়েছিলাম উপাদানহীন

একটা দিন
ছোট্ট একটি মৃত্যু অন্তহীন

খোলা আকাশ আর পাহাড়
জলে ঘেরা অট্টালিকা




December 27, 2020

গোলাম রসুল

 মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম

দ্বিধাগ্রস্ত  সূর্য
সূক্ষ্ম কুয়াশায় পৃথিবীর ত্বকের ওপর 
আমাদের আস্তানা

মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম

যখন রাত্রিতে নিঃশব্দে আমাদের হাতে
উঠে এসেছে অসংখ্য নক্ষত্র

তারপর আমরা গরীবদের শেষ ঘরগুলো
পর্যন্ত হেঁটে যাই
আর আলোর গায়ে হাত দিই

শেষ পর্যন্ত আমাদের চলে যাওয়া কেউ
এঁকেছিল কিনা জানিনা
        

বহমান হাত

যখন কোনো বহমান হাত পৃথিবীর সব
নদীগুলোকে অতিক্রম  করে চলে যায়
আমি ভোর পর্যন্ত জেগে থাকি

নক্ষত্র পল্লী  থেকে বেরিয়ে
রাত্রির পলি গুলো সরিয়ে
পাহাড়ের মতো মায়েরা নেমে আসছে
তাদের সন্তানদের জন্যে

যুদ্ধ আর লোহার মতো বেঁচে থাকা

বজ্র বিদ্যুতের গায় শিরা উপশিরা
ঝড়ের গরম হৃৎপিণ্ড
মধ্যরাতে মেঘ করেছিলো
আর কর্কশ নিদ্রার ফাঁক গুলো দিয়ে
ঢুকছিলো দুঃস্বপ্ন
নিরীহ পশুদের সমাধির মতো
এখন নদী গুলো
আর আগ্নেয়গিরির বৃষ্টি সূর্য
আমাদের অশ্রুগুলো যখন দাবানলের মতো
তারপর উড়ন্ত শকুনের জমায়েত

শূন্যের মুখে আমরা ঢুকিয়ে দিয়েছি জাহাজ
আমাদের শিশুরা উলঙ্গপনা হয়ে ঘুরছে শীতের চাঁদে
আর আফ্রিকার একটি মানচিত্রের মতো আকাশ

চোখের ভেতরে খোদাই করা অদৃশ্য
স্পর্ধিত কানে গুঁজে রাখা নৈঃশব্দ্য
আর হাতের বাহুর নৌকা
নিরুদ্দেশ হয়েছে সেই সব মনুষ্যত্ব  যারা কিছুই  জানতো না ঈশ্বরের জলবাহকদের সম্বন্ধে

কত হাত
ক্ষুধার ফেনা থেকে গড়ে ওঠা  পান পাত্রের মতো 
ভেসে চলেছে নদীগুলোর আগে আগে










November 29, 2020

গোলাম রসুল

ওরা কিভাবে গিয়েছিল জানি না


চিরদিনের জন্য ওরা চলে গেল

ওরা কিভাবে গিয়েছিল জানি না
সবচেয়ে প্রাচীন একটি মৃত্যুর মতো

তখনো ওদের বিছানা গুলো পাহারা দিচ্ছিলাম
এবং কয়েকটি নক্ষত্রের সঙ্গে আমরা স্বপ্নের দিকে যাচ্ছিলাম
উড়তে উড়তে পাখিদের জনতা বরফে ঢাকা পড়েছে যেদিকে

আমাদের বাড়িগুলো মেঘের থেকেও পুরোনো
খসে পড়ছে কিছু কিছু অংশ
আর চোখ বন্ধ করে নেওয়া সমুদ্রের ওপর তারা দাঁড়িয়ে

বুজে যাওয়া গর্ত থেকে উঠে আসছে আরো কিছু মূর্তি
তারাও আমাদের মতো সাঁতার কাটতে জানে না

ভোর হলো
ডিমের খোলা কাগজের ওপরে সূর্য এঁকে যাচ্ছে আরেকটি দিন

পাখনায় ওড়া আকাশ
পৃথিবীর সংকেত
আলাদা দেয়  আমাদের জীবন




গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...