Showing posts with label নিমাই জানা. Show all posts
Showing posts with label নিমাই জানা. Show all posts

February 27, 2022

নিমাই জানা

তিনটি কবিতা


(১) বাৎসায়ন ও ফিজিওলজির পাঠ



প্রজাপতি হত্যার পর ব্রহ্মা এসে বসলেন আগুন আর স্বাহা নারীর কাছে
প্রতিটি প্রহর জুড়ে ধনাত্মক কার্নিভোরাসেরা ফিজিওলজির খাতাটি ভরিয়ে ফেলছেন লবণাক্ত রঙের আকাশ দিয়ে
দ্বিপদ উপপাদ্যের লিঙ্গহীন পুরুষেরা ফিউচার পার্ফেক্ট কন্টিনিউয়াস ভেঙে ভেঙে একটি পাথরের থালা তৈরি করবে যেখানে ইলোরা নারীটি বাৎসায়ন পাঠ করিয়ে যাবে অ্যারিস্টোটলকে, একটি পাথরের শিল্পী ময়ূরীর ডান পালককে ক্রুশবিদ্ধ করছেন গন্ধরাজের ছিদ্রালো বোঁটা দিয়ে
মরুদ্যানের ঘোড়াটি নেমে আসার পর বিশুদ্ধ পালকগুলো জড়িয়ে ধরবে একটি আনাস্তেসিয়া নারীটির ডান স্তন ,
প্রতিটি স্তনে তার ম্যালিগনেন্সি কালো কর্দমাক্ত পোকা কিলবিল করে খাচ্ছে স্নানঘরের পিচ্ছিল ধোঁয়াকে
আমি বৃষ্টি দানাকে ভয় পাই একটি অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো , দক্ষ রাজার ত্রিশূল নিয়ে নিজের হৃদপিণ্ড ফুটো করছি সতী চিহ্নের জন্য
আমার সহস্রকাল জুড়ে রজঃস্রাব ঘটেনি


(২) শতকহীন চিতাকাঠ  ও পঞ্চপান্ডব গর্ভাশয়



যারা গভীর রাতে আলপথ ধরে নেমে যায় তাদের ডান হাতের কমন্ডুলটি সাদা কাগজের মতো চৌকো
প্রতিটি বর্গক্ষেত্রের অন্তরীক্ষে বাসা বেঁধে আছে প্রাচীন স্বরলিপি আমি তাদের ক্ষতিগ্রস্ত মুখের বামদিকে ফুটিয়ে চলি কিছু ধোঁয়াহীন ধূপ ,
জ্বেলে দিলাম প্রদাহ শ্মশান ক্ষেত্রের এক চন্দ্র , একমাত্র সাক্ষী রেখেছিল তার শতকহীন চিতা কাঠের জন্য
নিজের দেহে রাখা পুরুষের ওপর বিষধর পরাক্রমীরা বিষ প্রয়োগ করছে প্রতিটি রাতে
দ্রৌপদীর পাঁচটি গর্ভাশয় ছিল পঞ্চপান্ডবের জন্য
অর্জুনের বাকল আমাকে হত্যা করতে উদ্যত অথচ আমি একটি মাছের মতো ঠোঁটে নিয়ে শুয়ে আছি সারারাত
আমার পালকের উপর কোন জেরুজালেম শহরের যুবতী নেই,  যারা প্রতিটি আলপথ ভেঙে ভেঙে কম্বোজের পেঁচানো গোখরো হয়ে যায় তার  নিচে বৃত্তাকার শুয়ে থাকি গোপন প্রস্থচ্ছেদ নিয়ে সেখানের আয়নাটি আরো প্রাচীন
আমাকেই দাঁড় করায় ডটেড এক্সট্রা টাইম সঙ্গম চিত্রের কাছে,  প্রতিটি রাতে আমি অসহায় হয়ে বেরিয়ে আসি একটি উলঙ্গ ঈশ্বরীর পেছন থেকে
প্রতিটি দাঁত আসলে অজুত বিনাইন অজগরের নাম

(৩) লিঙ্গদণ্ডের আত্মহত্যা ও শতানীক


আমার সারা দেহে ভেজা ঈশ্বরীর কালো রং, যৌনাঙ্গ চিহ্ন মানেই মাথায় শিউলিপুর অথবা উন্মত্ত সাঁকো ঘাট নোনা হতে হতে কালিদহের ভেতর সঙ্গম করছে সহস্র কামদেব
ধর্মক্ষেত্রের দিকে চলে যাওয়ার পর রাসায়নিক দেহ ঘরের ভেতর আমার বাবা চৌকো রঙের একটি ধুতি পরে দাঁড়িয়ে আছে বেগনভেলিয়া ফুলের দলমন্ডল নিয়ে
প্রতিটি লিঙ্গদন্ডের আত্মহত্যা আসলে একটি বাকল মোচনের নাম
পায়ের ছাপের নিচে আরো কৃষ্ণবর্ণ হয়ে ওঠে চাঁদ
গোপন ঘরের ভেতর যে একাকী থাকে সে মহাজাগতিক আলো শুষে নিচ্ছে দ্রাঘিমাহীন ইচ্ছামতীর নারীর মতো
তার কপালের কাছে অদৃশ্য দুটো নৌকো আমাকে মৃৎশিল্পী করে গেছে আজীবন কপর্দকহীন করে
আমি ধনাত্মক সংখ্যা রেখার উপর দাঁড়িয়ে ঈশ্বরীর অজন্তা শরীর নিয়ে ক্রমশ পূর্ণ সংখ্যার মানুষগুলোকে গিলে খেলাম
গিরিখাতের পাশে দাঁড়িয়ে উঁকি দিচ্ছে আমাদের অন্তিম বাসনার কাহিনী, বিষ্ণুপুরাণ
কোন সংঘাতের কারণ নেই বলে ভেসে আসছেন সমুদ্রের কিনারে নাভি বের করবেন ব্রহ্মা নিউক্লিওলাস থেকে
আমরা জয়ঘণ্টা বাজাবো নকুল আর শতানীক হয়ে

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...