শূণ্য থেকে শূন্য
ফ্ল্যাশলাইটের মধ্যে পাখা ঝটপটানো চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি, চায়ের কাপ ঠনঠন করতে করতে ডুবে যাচ্ছি মহাশূন্যে। বাস্তবতার হিমেল ছোঁয়ায় গায়ের চাদর দাউ দাউ করে জ্বলছে। একেই তবে গাত্রদাহ বলে!
ডায়েরি খাঁচাতে বাঘ পুষে রেখেছি৷ বার করে আনি যদি দুধেল হরিণ পাই। রক্ত কাঁঠাল ফলের স্তনগ্রন্থির থেকে টপটপ লালা ঝরে, তার রঙ কিন্তু লাল হবারই কথা!
গাছে কাঁঠাল ঝুলছে, গোঁফে মাখার তেলটা বাড়ন্ত যদিও। ধ্যাৎ ধ্যাৎ ভালো লাগে না আর। ঢিল ছুড়ে পাঁচিল থেকে নামিয়ে আনবো ঈশ্বরীকে। ওকে কে গাছে তুলে মই নামিয়ে নিয়েছে আর বেচারী ওখানেই ঝুলন্ত আদ্যন্তকাল। ধূপকাঠির গন্ধ পেয়ে দেশলাই খুঁজি আমি। দেশলাই কই!
দেশলাইয়ের খসখসানিতে ভিজে
যায় আমার আঙুল, রক্তের উষ্ণতাটুকু নিয়ে জ্বালাই সিগারেটটা। সিগারেটে পোড়ে আমার স্বাভাবিকতা। উন্মাদ আমি জলফড়িং ভেজে খাবো রোদে পোড়া নদে। সাথে আলো দিয়ে হাওয়া দেবে আমায় স্বয়ং মহাকালী। দেখো দেখো ওই কারা যেন নাচতেছে, কাঁসর ঘন্টা বাজছে। প্যাঁ প্যাঁ-- এলিয়েন ওলা ড্রাইভার হর্ণ বাজাচ্ছে। মাথা তার হাতির মত। ঠোঁট পাখির চঞ্চু।
প্রবঞ্চনা ভালো নয়, কম্পলেইন্ট জমা করি মরণোত্তর কনজিউমার ফোরামে। উদ্ভাবনী শক্তিগুলো আমার পেছনে এটম লেলিয়ে বোম্ব দিচ্ছে। এই শালা, এত সাহস তোদের। সামনে আয়...
ব্যস্ত বিকেলে আলোকবিন্দুর মতো খেলা করছে ক্রিকেট ব্যাট। বল নিয়ে এগিয়ে আসছে নিত্যদিনের মনোটোনি। প্রতীয়মান বিকটদর্শন ন্যাঙটা জটাধারী।
তবু একবার শূণ্য থেকে শুরু করে শূন্য
অবধি রিলে রেসে নাম দেবো। অনন্ত শূন্য। শুধু এইটুকু মনে রেখে দেবো।