দুপুর
রঙের রোশনাই
দুপুর
পাতাঝরা দিন
বৃষ্টি
কখনো মেঘ
এখন হাওয়া নেই
রোদে ভাসে রুক্ষদিন
লম্বা ছায়া পড়ে থাকে নির্জন বদ্বীপ জুড়ে
পাঁজরের অস্থিতে নোঙর করি সঙ্গম। নীল অন্তর্বাসে ঢাকা সৃষ্টিসুখ ।।
যতোদূরে যাই
ফিরে আসি ঠিক ততোটা পথ
দুঃখ বেদনার গোঁসাঘরে খিল আঁটা পৃথিবী
আমার ঊনিশের কবিতা প্রতিদিন ফুল হয়ে ফুটে ওঠে সারা ব্যালকনিময় ।।
বন্ধুত্ব ছুড়ে ফেলি
বিভেদের চিতায় পোড়ে ইতিহাস
কোমল সোহাগ মাখি দুঠোঁটের নীরব কথকতায়
শূন্য হৃদয়ে ভাসে মহুয়ার দেশ। দোপাটি ফুলে গুঁজে রাখি বৃষ্টিমাখা কৈশোর ।।
রাস্তায় ঘাতক অন্ধকার
প্রতিদিন লুট হয়ে যায় চেনা চেনা ডাকনাম। আমাদের উৎসব রজনী ।।
গাছ
কচি কচি চারাগুলো ধীরে ধীরে বাড়ে
বেড়ে ওঠে গাছ
এ জীবন ভাঙে গড়ে নির্জন সৈকত
তোমাকে ছুঁয়ে দেখি কোমল শ্বাস
পাতার কুটিরে নিঃস্ব এ জীবন
নিঃস্ব রাতের পক্ষাঘাত
মাটির প্রদীপে নেমে আসে জোনাক রাত
মহুয়ার সুবাসে ভরা সান্ধ্য উঠোন
অভিমানী সংলাপ
একছাদ রোদ হাতে নিই
তোমার হাতে রাখি বাসি রোদ
আমাদের গাছে রোদ। গাছগুলো এখন বোধি লাভ করছে
ফাগুন কথা
ক্রমাগত পাল্টে যাচ্ছে জীবন ছন্দ
এতোদিনের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে তাবৎ অরণ্যভূমি
স্বাস্থ্যহীন বিকেল ফিরে আসে
রোদের বদ্বীপ
আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি শীত
হাওয়াদের ব্যালকনি বাড়ি
মাঝে মাঝে জড়ানো চাদর খুলে রাখি গায়ে
দিবাস্বপ্ন নৈর্ঋত
এখনো শরীর শরীর গন্ধ
শরীরী ছন্দে বরাবর ফাগুন কথা
ঘরে ঘরে শিমুল পলাশ ভাটফুলের নরম সুবাস
হৃদয়ে উৎসব
সমস্ত যুদ্ধের পর অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা হেসে ওঠে মাঝরাতে কোনও পিয়ানোর সুরে খোলাচুল উড়ে আসে তার বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...