দুপুর
ছায়াডোবা স্বপ্নজালে
রঙের রোশনাই
রঙের রোশনাই
আমরা প্রতিদিন ছুঁয়ে দেখি ফুল পাতা জীবন।
তখনো আমার একলা বিকেল
স্মৃতির কোঠায় খুন হয় হাজার চাঁদ
চাপ চাপ রক্ত
চাপ চাপ কষ্ট
হৃদয়ের ভেতর।
তাবৎ কষ্টের মাঝে ভিজে ওঠে বুক
দুহাতে কুড়োই স্বপ্ন
দুহাতে কুড়োই বাসি ভাত ।
হাজার হাজার ভূখাপেট হাভাতের বিবর্ণ দুপুর খুঁটে খুঁটে খায়।
মাটি
কবিতার বীজধান পুঁতি
আউশের ক্ষেত ভরে ওঠে বিশ্বাসে
সব বোধিবৃক্ষ
ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ
নৈরঞ্জনার পূণ্যতোয়া জলে ধুয়ে নিই আজন্ম নীতিকথা ।
কারা আসে কারা যায়
নদীর জলে ভাসে কাঠ কয়লা আকরিক
আমরা দেখি শুনি। হিসেব মেলাই
তবু জন্ম নেয় নাস্তিকের দল
আমরাও ধীরে ধীরে বারবার বারবার নাস্তিক হয়ে যাই ।
পাপ পূণ্যের নতুন সংজ্ঞা সাজাই
বার্ধক্যের লাঠি হাতে দেখে নিই জীবন
উঠতে মাটি
বসতে মাটি
মাটি খায় কাঠ কয়লা আকরিক। মাটি খায় জীবন ।
পুরোনো বসত
আমাদের সমস্ত দুঃখ কষ্ট আর যন্ত্রণা
মাঝে মাঝে ধুয়ে নিই জলে
ডুবজলে ভাসে কথা। সূর্যের ছায়া নামে বৃহৎ দ্রাঘিমায় ।
আমাদের হৃদয়ের গভীরে পুরোনো সম্পর্ক
বারবার ফিরে আসি সেঁজুতি বলয়
কুসুমিত মল্লভূবনে নৈরাজ্যের ছায়া। জমে ওঠে বিস্ময় একবুক ।
পড়ে থাকে জলের পুরোনো বসত
নাবাল জমিনের ঘ্রাণ
হরদিন পাতার কুটিরে আঁকি তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। নৈঃশব্দের আদিম রাত।
হরদিন অন্দরমহলে খুঁজি
অশ্বমেধ ঘোড়া। সমিধ আয়তক্ষেত্রে পুঁতি নির্জলা কবিতার বীজধান।
পাথর ্
এখনো নিজেকে খুঁজি
এখনো খুঁজি আমার আমিকে
আমি শূন্য
অতীত
আমার হাতে জিরাফের দাঁতের দাগ
রক্তাক্ত জীবন
জিরাফ অসুখ
বারবার শাদা খামে তুলে রাখি স্বপ্নের উপমহাদেশ
ভালোবাসার মুর্ছনা শুনি
শিউলি ঝরা রাত
ইট কাঠ পাথরে প্রতিদিন ভালোবাসা কুড়োই
পাথর স্বপ্ন দেখছি
পাথর হয়ে যাচ্ছে হৃদয়। পৃথিবী পাথর
পাথর আমাকে চাপা দেয়। আমি চাপা পড়ে আছি জিরাফের পায়ের তলায়।
No comments:
Post a Comment