দু'টি কবিতা
কনডেম-সেলে দাঁড়িয়ে,জেব্রাক্রসিংয়ের
কনডেম-সেলে দাঁড়িয়ে,মৃত্যু নির্দেশিত পথে জোনাকি হাঁটে; শানিত ছুরির ভেতর,হৃদয় উন্মিলিত কোরে,আফিমের আকাঙ্ক্ষায় ব্যর্থ হয়,আমাদের শতাব্দির দিকে ছুটে চলা প্রেম—মহিরূহ
বেথোভেন কিংবা মায়াস্ট্রো
বেথেলহেম অথবা ব্রোথেল, পরিশিষ্ট হয়,
সব বিপরীত দৃশ্যই এক—
এসব পবিত্র স্থানে আমাদের নির্লিপ্ত শয্যা হবে;
একই প্রেম
একই দ্রোহ—একই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে, নির্দ্বিধায় হেঁটে চলা মাকড়সা, আরও ক্রমাগত ডুবে থাকে,ভরা জ্যোৎস্নার মজলিসে
চুমুর দৈর্ঘতায় য্যানো জেব্রাক্রসিংয়ের পথ
ফরাসি মদের ভেতর — উৎসর্গিত মৃত ঠোঁট, কখনও কোনো নগ্ন বালিকার হতে পারে।
(১৫-ভাদ্র, ১৪২৭)
রাজকীয় জ্যোতিষ্ক
কোনো এক সাইকোঅ্যানালিসিসের ভেতর থেকে, রাজকীয় জ্যোতিষ্কের বিক্ষিপ্ত শব্দগুলি, আমারে প্রবল হত্যা করে।
প্রত্যাবর্তিত এই আকস্মিক ব্যথা, তোমাকে শূন্যতায় উড়িয়ে নেয়া মেঘ— জ্বলন্ত রক্ত হতে জন্ম নেয়া ঘাতক প্রজাপতি; হয়তো আঙিনার পথে তোমার কান্না বহমান, আমি ছুঁতে পারি-না মৌনতা, অন্ধতাগুলি; আর অহম প্রিয়তমা। জারুল বনে লুকিয়ে আছে অপর্যাপ্ত মহামান্য ঈশ্বর;
সেই দ্রোহ অঙ্কনগুলি, মনে কোরে,
মরে যাওয়া সহজ।
কিংবা ধরো,- কেউই আর বেঁচে নেই বাতাসের অক্ষরে।
(১৪-ভাদ্র, ১৪২৭)