আলিঙ্গন
আলিঙ্গন করতে দেখিনি
এ এক দীর্ঘ মৃত্যু সফর
এক অসহায় আত্মজীবনী
শুকিয়ে যাওয়া টবের মাটি
একটু মমতা চায়
অনামিকার ছোঁয়ায় আবার
পাতারা সবুজ ফিরে পাক।
ফুলের গন্ধে মৌমাছির গুনগুনে
সচল হোক রক্ত প্রবাহ ।
আলিঙ্গন
মায়াশরীর
আমার বুকের ভেতর
আমার বুকের ভেতর একটা গ্রাম
আছে সোনাঝুরি শালের জঙ্গল
মহুয়ার গন্ধ পাখির ডানামেলা আকাশ
আমার বুকের ভেতর একটা নদী
গঙ্গার মতই চিরপ্রবাহিনী
প্রতি পূর্ণিমায় ফুলে ওঠে জল
সারারাত চিক্ চিক্ করে ঢেউয়ের মাথাগুলি
আমার বুকের একপাশে সাহারীয় উষ্ণতা
ধূসর বালিয়াড়ী পদচিহ্নহীন
রাত্রিকালীন শীতলতায় হারিয়ে যায় জ্যোৎস্নামুখ
আমার বুকের ভেতর একটা আমনের খেত
ধানপোতা আঙুলের ছাপ
ধানের শীষে শরতের শিশির
হা- করা কচি ধানের মুখে সঞ্চিত দুধে
সোনালী স্বপ্ন আঁকা
আমার বুকের ভেতর ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী
আচমনীয় জল ও স্বস্তিবচন
পঞ্চপল্লবে শোভিত ঘটস্থাপন
ঈশ্বরের আবাহন
মূর্তির ভেতর জেগে ওঠে কোজাগরী।
সদর দরজা
একটা হেলে সাপ বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে
জঙ্গলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে
আর জলধোড়া পচা পাঁকে মাথা ঢুকিয়ে জল খোঁজে
মজে যাওয়া হেলেঞ্চাভর্তি পুকুরে জলচিতি
বিষ ঢেলে পেরিয়ে যায় হাইওয়ে
অ্যান্টিবায়োটিকে দুর্বল শরীরগুলো
বিড়্ বিড়্ করতে করতে ছায়া খোঁজে
কাশতে কাশতে অতিক্রম করে
সংক্রামিত ফুসফুসের সদর দরজা ।
সমস্ত যুদ্ধের পর অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা হেসে ওঠে মাঝরাতে কোনও পিয়ানোর সুরে খোলাচুল উড়ে আসে তার বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...