December 27, 2020

গোলাম রসুল

 মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম

দ্বিধাগ্রস্ত  সূর্য
সূক্ষ্ম কুয়াশায় পৃথিবীর ত্বকের ওপর 
আমাদের আস্তানা

মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম

যখন রাত্রিতে নিঃশব্দে আমাদের হাতে
উঠে এসেছে অসংখ্য নক্ষত্র

তারপর আমরা গরীবদের শেষ ঘরগুলো
পর্যন্ত হেঁটে যাই
আর আলোর গায়ে হাত দিই

শেষ পর্যন্ত আমাদের চলে যাওয়া কেউ
এঁকেছিল কিনা জানিনা
        

বহমান হাত

যখন কোনো বহমান হাত পৃথিবীর সব
নদীগুলোকে অতিক্রম  করে চলে যায়
আমি ভোর পর্যন্ত জেগে থাকি

নক্ষত্র পল্লী  থেকে বেরিয়ে
রাত্রির পলি গুলো সরিয়ে
পাহাড়ের মতো মায়েরা নেমে আসছে
তাদের সন্তানদের জন্যে

যুদ্ধ আর লোহার মতো বেঁচে থাকা

বজ্র বিদ্যুতের গায় শিরা উপশিরা
ঝড়ের গরম হৃৎপিণ্ড
মধ্যরাতে মেঘ করেছিলো
আর কর্কশ নিদ্রার ফাঁক গুলো দিয়ে
ঢুকছিলো দুঃস্বপ্ন
নিরীহ পশুদের সমাধির মতো
এখন নদী গুলো
আর আগ্নেয়গিরির বৃষ্টি সূর্য
আমাদের অশ্রুগুলো যখন দাবানলের মতো
তারপর উড়ন্ত শকুনের জমায়েত

শূন্যের মুখে আমরা ঢুকিয়ে দিয়েছি জাহাজ
আমাদের শিশুরা উলঙ্গপনা হয়ে ঘুরছে শীতের চাঁদে
আর আফ্রিকার একটি মানচিত্রের মতো আকাশ

চোখের ভেতরে খোদাই করা অদৃশ্য
স্পর্ধিত কানে গুঁজে রাখা নৈঃশব্দ্য
আর হাতের বাহুর নৌকা
নিরুদ্দেশ হয়েছে সেই সব মনুষ্যত্ব  যারা কিছুই  জানতো না ঈশ্বরের জলবাহকদের সম্বন্ধে

কত হাত
ক্ষুধার ফেনা থেকে গড়ে ওঠা  পান পাত্রের মতো 
ভেসে চলেছে নদীগুলোর আগে আগে










1 comment:

  1. অপূর্ব কবিতা ! খুব ভালো লাগলো l

    ReplyDelete

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...