May 30, 2021

সৌমাল্য গরাই

 দু'টি কবিতা


দশদিক


নিভে যায় সমুদ্র শরীর,  আঘাতে জেনেছ পেলবতা

কী মৃদু নরম ব্যথা বয়   হাওয়া দিলে খোলা জানালায়

হো হো করে ছুটে আসে যারা, তারা কোন প্রদেশের —

এমন উত্তুঙ্গ তেজী ঘোড়া যেন চুরি যাওয়া বালকেরা

এখানে এসেছে ফিরে। শোনো, তবে কি সরল বাতাসেরা 

কানে কানে  সেইসব ফিরে আসা বালকের গান গায়

আর ঝড়— বিবাহিত পালকীদের কথা বলে আমবনে

কুড়ানো নোলক বেজে ওঠে, যারা একা হয় বড় বেশি 

স্বপ্ন দেখে ভয় পায় খুব, চেপে রাখা ঘন বাষ্পাকাশে

যেরকম বৃষ্টির খানিক আগে মেঘ মন দিয়ে কাঁদে  


দশদিক পুড়ে যায়, পুড়ে যায়— বহ্নি, সূর্য, গ্রহ তারা

একা গাছ নম্র হয়ে শোনে, না বলা সমস্ত কথালিপি 

অনুবাদ করে ফুলে ফুলে, না বলা গোপন দুঃখ ঝরে 

পাতা হয় যুবক দুপুর

লেখা থাকে প্রাচীন বল্কলে

 দহনের পর মানুষেরা ধোঁয়া হয়, ডানা পাবে বল


শিকার ও স্বীকারোক্তি


ঘুমের বিশেষ ক্রিয়াকলাপের মধ্যে দেখেছি অদ্ভুত 

এক  জীব স্নেহলালায়িত, ক্ষুধাতুর  

যেন এক অতিকায় রাক্ষুসী স্বরূপা রাত  রক্ত চুষে খায় আর

আমাকে হঠাৎ নিয়ে যায় মৌন সমাধিতে

লক্ষ-লক্ষ শব থিকথিকে জীবাণুর ভিড়ে বলে 

মৃতের সন্তান এসো,  হনন শেখাই 

প্রবঞ্চক, কৃতঘ্ন, গোঁয়ার,

তুমি কী জানো না, নৈরামণি পাখিটিকে পুড়িয়েছ গতকাল

তার মাংস, হাড় লহু, মসৃণ ডানায়

নিহত করেছ ভাষা, আমাদের অলিখিত  ইহ পরকাল... 





তুলসীদাস ভট্টাচার্য

 আলিঙ্গন 

এভাবে কোনদিন মৃত্যুকে   
আলিঙ্গন করতে দেখিনি 

এ এক দীর্ঘ মৃত্যু সফর 
এক অসহায় আত্মজীবনী

শুকিয়ে যাওয়া টবের মাটি
একটু মমতা চায়

অনামিকার ছোঁয়ায় আবার
পাতারা সবুজ ফিরে পাক।

ফুলের গন্ধে মৌমাছির গুনগুনে
সচল হোক রক্ত প্রবাহ ।



সব্যসাচী পণ্ডা

 ফেরা 

   

চলো এইবার দস্যুতার গল্প লিখে ফেলি

ইঁট পাথরের ইমারতে।

প্রতিটি ইমারতের পচন আর ক্ষত থেকে

হাইড্রেনের ময়লা মাখা জল থেকে দাঁড়াই কিছু দূরে।

চলো এইবার তুলে ফেলি গাছের গায়ের সমস্ত পেরেক

আমাদের ভেতরে রয়েছে যে ছোট্ট কড়ে আঙুল 

চলো তাকে সযত্নে বাঁচাই আবার।


এই তো সময়,

চলো এইবার সব ছেড়ে ছুড়ে পুনরায় গ্রাম দেশে ফিরে যাই।




সুফল সান্যাল

 শূণ্য থেকে শূন্য

ফ্ল্যাশলাইটের মধ্যে পাখা ঝটপটানো চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি, চায়ের কাপ ঠনঠন করতে করতে ডুবে যাচ্ছি মহাশূন্যে। বাস্তবতার হিমেল ছোঁয়ায় গায়ের চাদর দাউ দাউ করে জ্বলছে। একেই তবে গাত্রদাহ বলে!

ডায়েরি খাঁচাতে বাঘ পুষে রেখেছি৷ বার করে আনি যদি দুধেল হরিণ পাই। রক্ত কাঁঠাল ফলের স্তনগ্রন্থির থেকে টপটপ লালা ঝরে, তার রঙ কিন্তু লাল হবারই কথা!

গাছে কাঁঠাল ঝুলছে, গোঁফে মাখার তেলটা বাড়ন্ত যদিও। ধ্যাৎ ধ্যাৎ ভালো লাগে না আর। ঢিল ছুড়ে পাঁচিল থেকে নামিয়ে আনবো ঈশ্বরীকে। ওকে কে গাছে তুলে মই নামিয়ে নিয়েছে আর বেচারী ওখানেই ঝুলন্ত আদ্যন্তকাল। ধূপকাঠির গন্ধ পেয়ে দেশলাই খুঁজি আমি। দেশলাই কই!

দেশলাইয়ের খসখসানিতে ভিজে
যায় আমার আঙুল, রক্তের উষ্ণতাটুকু নিয়ে জ্বালাই সিগারেটটা। সিগারেটে পোড়ে আমার স্বাভাবিকতা। উন্মাদ আমি জলফড়িং ভেজে খাবো রোদে পোড়া নদে। সাথে আলো দিয়ে হাওয়া দেবে আমায় স্বয়ং মহাকালী। দেখো দেখো ওই কারা যেন নাচতেছে, কাঁসর ঘন্টা বাজছে। প্যাঁ প্যাঁ-- এলিয়েন ওলা ড্রাইভার হর্ণ বাজাচ্ছে। মাথা তার হাতির মত। ঠোঁট পাখির চঞ্চু।

প্রবঞ্চনা ভালো নয়, কম্পলেইন্ট জমা করি মরণোত্তর কনজিউমার ফোরামে। উদ্ভাবনী শক্তিগুলো আমার পেছনে এটম লেলিয়ে বোম্ব দিচ্ছে। এই শালা, এত সাহস তোদের। সামনে আয়...

ব্যস্ত বিকেলে আলোকবিন্দুর মতো খেলা করছে ক্রিকেট ব্যাট। বল নিয়ে এগিয়ে আসছে নিত্যদিনের মনোটোনি। প্রতীয়মান বিকটদর্শন ন্যাঙটা জটাধারী।

তবু একবার শূণ্য থেকে শুরু করে শূন্য
অবধি রিলে রেসে নাম দেবো। অনন্ত শূন্য। শুধু এইটুকু মনে রেখে দেবো।









সোমনাথ বেনিয়া

 ভয়সমগ্র - ৭ 

Aichmophobia - Fear of needles or pointed objects

শীর্ষ বিন্দু মানেই সাফল্য নয়
এই যে অতিক্রান্ত পথের বিস্তারনামা অন্তরালে ...
অনেকেই দেখছে এক চোখে
তাই ভয় থাকা স্বাভাবিক বলেই মন কেন্নো
অতিসচেতন হতে গিয়ে কিছু সময় দোষারোপ
যে প্রিয় নয়, সেও তখন মলম
প্রলাপের মাঝে চোখের জলে শীর্ষ আলোকিত
না এগোলেই ভালো সময়চক্রের ফাঁদে পড়ে
কিন্তু কে বুঝবে, বোঝাবে হৃদয়বৃক্ষ অবিচল
এ লক্ষ্য যে সে লক্ষ্য নয়, রুলটানা খাতার লাইন
তবুও অসুখবৃত্তান্ত শেখায় সহ‍্যপদাবলি
গ্রহণে কোষে সংবেদ, উত্তেজনা, আনুমানিক সংশয়
এভাবেই ক্ষতের পাশে নিরাময় বসে থাকে ...






সাত্যকি

 ঘর-বাড়ি


অনেকটা কোলাহল পার করে 
তারপর এই বাড়ি গড়ে উঠেছিল 
                 দক্ষিণের বারান্দা নিয়ে 

প্রত্যেকটি ইট কাঠের সাথে 
আমার নিবিড় পরিচয় যোগাযোগ বন্ধুত্ব 
এরা চেনে আমার সহজাত স্বভাব 
তাই কোনো বিরোধ নেই
দিব্য সহ্য করে নেয় বেহিসেবি যা - 

বারান্দার নিচে চটি জুতো ঠায় 
                           ঠেস দিয়ে রেখে 
আমি এই চেয়ারে বসে আছি 

ঘুলঘুলি ভর্তি বাতাস খবর আদান-প্রদান করে 
চায়ের কাপ - খবরের কাগজ - ওষুধ - 
নিজেদের মতো 

আমার এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না 
চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকি 

এই বাড়ি আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নয় 
অনেক কোলাহল পেরিয়ে তারপর - 

                                                   


অমিত চক্রবর্তী

একটা আশ্চর্য সুড়ঙ্গ


আজ সকালে পড়িমড়ি করে

একটা আশ্চর্য সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা

ইতিহাস না পড়ে, ইতিহাস না পড়ে

একটা আশ্চর্য সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে –

কেমন হত তুমি বলত

 

বাইরে কি এখন আলো – চোখধাঁধানো না আলেয়া

বাইরে কি এখন আগুন

অফুরন্ত না কাঠপোড়া –

তুমিই বল

 

সামনে বেড়াবতীর জঙ্গল

একটা আশ্চর্য সুড়ঙ্গ

একটা লম্বা টানেল ভিশ্যন …



দেবকুমার মুখোপাধ্যায়

W B Yeats -এর "Politics" কবিতার ভাষান্তর করেছেন দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। 


রাজনীতি


যখন মেয়েটা ঐখানে দাঁড়িয়ে
তখন কী করে
আমি আমার মনটাকে
রোম, রুশ কিংবা স্পেনের রাজনীতিতে বসাই?
অন্তত এ লোকটা যে অনেক দেশ ঘুরেছে
সে জানে সে কী বিষয়ে কথা বলছে,
এবং ঐ একজন রাজনীতিবিদ
যে অনেক পড়েছে ও ভেবেছে,
হতে পারে তারা যা বলছে তা সত্যি
যুদ্ধ বা তার সম্ভাবনা সম্পর্কে,
কিন্তু এই দেখো আমি আবার যৌবনে
ফিরে গিয়েছিলাম
সেই মেয়েটিকে বুকে করে!  


তীর্থঙ্কর সুমিত

দু - এক কথা ৫


মনে হয় এখানেই ইতি টানার একটা দরকার আছে
কোনরকম স্বচ্ছন্দ বোধ নয়
বরং একটা অভিমানের বিকেল আঁকবো
রাতের প্রহরীরা দাঁড়িয়ে থাকবে
আমায় ঘিরে
তুমি বলবে -
আমি চাঁদ তারার গল্প শুনতে শুনতে
হারিয়ে যাবো আমার ভারতবর্ষে।


সমাজ বসু

 দু'টি কবিতা



মানুষ বিষয়ক কবিতা

শঙ্খচূড় বিষ কিংবা
ফণিমনসার ঝাড় সরিয়ে সরিয়ে
অতিদ্রুত সরে যায় মানুষ--
ক্রমশ নিরাপদ ব্যুহে,
এভাবেই তুলে আনে সে নিহিত সুখের ফুল।
মানুষই বোঝে--
প্রতিকুল হাওয়ার গতিবিধি। অন্ধকার ঘেঁটে খুঁজে পায়
আলোর পরশপাথর।

ফণা

নামমাত্র পাতা নেই--
তবু--
মাটির গভীরে শিকড়ের শিরায় শিরায়
জীবনের কী তীব্র গন্ধ--
বোবা নদীর খুব কাছ থেকে শোনো,
ভিতর স্রোতের শব্দ--
এভাবেই--
তার বাধ্য নাগরিকের শীতঘুম ছিঁড়ে দেখ
কী ভীষণ ফণা।



তুষার ভট্টাচাৰ্য

 দুঃখের ধারাপাত 


রাত্রির নিজস্ব দর্পণে শুধু অনন্ত দুঃখের

পাণ্ডুলিপি ভেসে ওঠে ;

 উদ্ভাসিত জোছনায় দু'ডানা মেলে তবু 

উড়ে যায় রাত পাখিরা

নিখিল দিগন্ত পানে ;

রজনীগন্ধা স্বপ্ন বুকে নিয়ে ঘরে

কেউ না কেউ

জ্বালিয়ে দিয়ে যায় ভালোবাসার

 সাঁঝবাতি প্রদীপের আলো । 

আর তখনই ভুলে যাই দুঃখের ধারাপাত । 







অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

সুপর্ণা সিরিজের কবিতা ১


ছাতিমের গন্ধ গিয়েছে,
নিস্পৃহ রাতের আলোকে,
জেগে থাকে অপূর্ণতা কেবল,
জেগে থাকে সুপর্ণা,
অনন্ত রাত নিয়ে বুকে,

বহুদূরে গেছে ওরা,
বহুদূরে সরে গেছে,
হেমন্ত কুয়াশা যেখানে,
পথের অন্ধকার মাড়িয়ে,
পৃথিবীর অসুখ নিয়েছে,

তন্ত্রীতে বেঁধেছে সুর,
অনন্ত নীরবতা কেবল,
সুরহীন বিকেলের মতো,
তীব্র হয়েছে জল,
চক্রবাক ...

ঘূর্ণিতে মিশেছে পৃথিবী,
চিরন্তন ...


সুপর্ণা সিরিজের কবিতা ২

সব কিছু শেষ হয়ে এস,
সমস্ত পাথর ফাটিয়ে,
নদী হয়ে এস,
জন্মদাত্রীর মতো,
উচ্ছল কল্লোলিতা,
সর্পিল রেখাটির মতো,
যেখানে ঘুম,
পাথুরে ঘাস,
নুড়ির রং ...

শীতকাল গিয়েছে অনেক,
বহুদিন ধরে বেঁচে আছি,
ময়দানে অপেক্ষায়,

সুপর্ণার সঙ্গে কিছুক্ষণ ...


সুপর্ণা সিরিজের কবিতা ৩

কুয়াশার বিকেলে মুড়েছি,
উপহার দিয়েছি রোজ,
একেকটা কবিতা ঘুম,
রডোডেনড্রনের আবেশে,
পাহাড়ি ঢাল,

সুপর্ণাকে মনে পড়ায়,
যেখানে তিস্তা-জল,
অলকানন্দা-বেগে,
হারিয়েছে সমতলে কোথাও,
যেখানে মেঘ,

ছুঁয়েছে তোমাকে-আমাকে,
রাত্রিদিন, কুয়াশা-ঘর ...


সুপর্ণা সিরিজের কবিতা ৪

সুপর্ণার জন্য লিখেছি,
কলকাতার সমস্ত মাঠ,
সমস্ত পার্ক, জটলা, চায়ের দোকান,
একাডেমি চত্বরকে পেরিয়ে,
সুপর্ণাকে লিখেছি,
আরেকটা শীতকালের খবর,
যেখানে মাটিময় হয়ে আছে,
সবকিছু,
যেখানে নীরবতা,
আশ্চর্য ফসিলের মতো – সুপর্ণা!

যেখানে শীত,
কেবলই ভয়ের জন্ম দেয়,
 শরীরে শরীরে ...

নগরিকা হয়ো আজ,
ছুঁয়ে দেখ,
আশ্চর্য উষ্ণতার খবর,

সুপর্ণাকে লিখেছি রোজ,
... ভাস্কর অপেক্ষায়।








অভিষেক ঘোষ

মৃত ও মৃতপ্রায় কবিতারা

         
                        (১)

নদীতে কবিতার লাশ ভাসছে ।
আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁতে যাই ।
অমনি শিউরে উঠে দেখি, তলিয়ে যাচ্ছে আরো অসংখ্য,
আরো অসংখ্য লাশ ! সামন্ত প্রভুর অত্যাচারে 
দড়িতে ঝুলে পড়া লাশ,
ইংরেজের গুলিতে লুটিয়ে পড়া লাশ,
সুদের টাকা মেটাতে না পারা কৃষকের লাশ,
সীমান্ত রক্ষীদের লালসার বলি মেয়েদের লাশ,
সব তলিয়ে যাচ্ছে, শ্যাওলায় ভারি 
ওদের পচ-ধরা শরীর ।

                          (২)

হসপিটালের বিছানায় কাঁপছে কবিতার লাশ,
করোনা-রোগীর পাশের বেডে মাস্ক পরে 
শুয়ে আছে সে !

                          (৩)

নগরের পথে পথে মরছে কবিতারা,
অক্সিজেন নেই, শ্বাস নিতে পারছে না !
নিজের হাতে নিজেদের বুক ডলছে তারা ।

                           (৪)

বাস্তুচ্যুত করার রাষ্ট্রীয় কৌশল বুঝে গেছে কবিতারা,
ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ছেড়ে দলে দলে,
ঘর ছাড়ছে তারা । যেতে যেতে দেখছে,
দুপাশে লুটিয়ে পড়ছে তাদের কবিদের লাশ !
থরথর কাঁপছে শিশু কবিতারা ।

                           (৫)

কবি ও কবিতারা মরে যাচ্ছে আজ ।
রকেট লঞ্চারে অথবা, ভোটের প্রচারে,
শত শত কবিতার স্কন্ধকাটা লাশ জমছে বাজারে ।






প্রসাদ সিং

সিরিয়াল কিলিং                           

তোমার সৃষ্টিকর্তার নাম জিঞ্জেস করেছিলাম
তোমার বাবা মা উঠে এলেন
তালিকা লম্বা হতে নাম লেখালেন ঈশ্বর

আচ্ছা , ঈশ্বরের মৃত্যুর খবর শোনোনি বুঝি
তুমি বলেছিলে ঈশ্বরের মৃত্যু সম্ভব না
কারণ , সৃষ্টিশীল নাকি আত্মহত্যা করে না

একজন চাষি শুধু ফসল চাষ করে
তুমি তো দোকান থেকে কেন
এতে সৃষ্টিশীলতা থাকবেই বা কোথায়

একজনও চাষী আত্মহত্যা করেনি
সৃষ্টিশীল মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে না
আসলে সবকটাই পরোক্ষ সিরিয়াল কিলিং




অদিতি ঘটক

বদ্ধ পিঞ্জর


গাছেরা উড়াউড়ি করছিল খুব

ডানায় চলকানো নরম মখমলি আলো

সেই আলোয় ঝরে পড়ে নক্ষত্রদের গোছানো অলীক সংসার

 ' সামান্য একটু অক্সিজেন ...'


 স্বপ্ন


লাল কার্পেট মোড়া লড়ঝড়ে সাঁকো পার হলেই সোনালি বিকেল

 প্রদোষ রোদ আর ঘাসেদের সংলাপ

 হাতে রুপালি কুঠার মায়াময় সুখতাপ

জলদেবী বার বার আসবেই





গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...