July 31, 2021

সুমন সাহা

আহ্লাদের বন


দেয়ালে টানানো আহ্লাদী ছবি পড়ে যাবার পর, পরকীয়া হাসলো।

সাথে সাথেই তেঁতুলের বনে আগুন!

তেঁতুলের কাঠই জানে কাঁচা অবস্থাতেই কেমন জ্বলে।

শালিখ আর ঘুঘু খেলছে

হাততালি দিয়ে যাচ্ছে,

প্রকাশ্যে গোপনে আতাফলের ব্যবসায়ী!


শুভাকাঙ্ক্ষী মাসি শোভা


চোখ গর্তে।

অপচয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে।

নিজের ঘরের খোঁজ আড়ালে রেখে

অন্যের ছিদ্র অন্বেষণ,

যুক্তি, পরামর্শ-মরামর্শ দিক বিদিক কাইত---

মাসি,

'আপন ঘরের খবর লে-না...'

ঢেঁড়স ভাজি পুড়ে যাচ্ছে-তো!


মন চাইলে মন খুলে হাসো


অনেক কোকিলের খবর রাখা হয় না।

রাখি না।

প্রতিবেশি ভুলে যাচ্ছে,

কোকিল আপন হচ্ছে।

নিজের ঘরের খবর

জানার ইচ্ছে হচ্ছে না।

অন্যের ঘরের খবর নেয়াটা

ভীষণ জরুরি খবর।


হাস্যকর গল্প পড়েও

হাসিটা আর আসছে না।

এই গল্প শহর ছেড়ে

গ্রামেও চলে যাচ্ছে!


যোগাযোগের একতরফা ব্যাপার---স্বস্তিহীনতায়


বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের মেয়েটিকে

চাঁদের সাথেই তুলনা করতে-করতে বালক---হারাচ্ছে...


'তাই! আচ্ছা! বেশ মজার-তো'---বলেই উধাও বালিকা---

       রেশ কাটে

                  সুঁতো!

ঘুড়ি আর বালকের আকাশে

                                  ওড়লো না---


প্রেমের ঘ্রাণ অন্য আকাশে ওড়ার আগেও,

পুনরায় বালিকার কথাই ভাবলো!


বিরক্তির বিরক্তি অন্যদিকে


বিরক্তি বেড়াতে আসেনি---

বাড়াবাড়ি-রকম ভাবনায় আছি

                          

কাউকেই বলার ইচ্ছে জাগেনি

                         তোমারে নিয়ে;


চোখে-চোখ রাখার মতো

ঘটনাই---অঘটন ঘটিয়ে

                   সরে গ্যালো...


মুগ্ধতা এখনো প্রস্তুতি সম্পন্ন করে,

                                করে যায়!




No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...