মিথষ্ক্রিয়া
১
‘আমি ডুবতে রাজি আছি’।
জানো ডুবতে? জানা যায়? সঞ্চারী মানুষীর বক্ষে
দু’বেলা যে একতারা বেজে যায়, তুমি শুনেছ তার বোল?
নিয়েছ কি মাটির ঘ্রাণ? না কি তুমি শুধু দুন্দুভির খোঁজে –
ডুবতে গেলে হাঁটু কেঁপে যায় কিন্তু, ‘আমি তরল হয়ে যাচ্ছি
বহমান, আবহমান
আমার চোখে তুমি ঘোর দেবে না, দেবে না বলছি’
বলতে হয়, খুব অস্পষ্টে কানে কানে।
২
এ শতাব্দীর সেরা চুমুটা আমি দিয়ে ফেলেছি সোনালিয়াকে।
তাই হৃদয় এখন ঘোলাটে,
হৃদপিন্ড পুরোনো পেশী
যা চাই তাই পেতে পারতাম,
তবু পুনর্জন্ম চেয়েছি এখন –
তার সব ব্যথা, দুর্বিপাক নিয়ে
আজ আমার পুনর্জন্মের প্রথম দিন।
৩
আজ তুমি শ্রান্ত। আজ তুমি চুপ থাকতে চাও, অথচ
কেউ একটা পায়ে পায়ে ঘুরুক
নিয়ে আসুক এক ভাঁড় লপচু চা –
অথচ নাম ধরে কেউ ডাকবে না
অথচ জানাবে না চা এসেছে বেডরুমে
শুধু নামিয়ে দিয়ে সাইড টেবিলে, একবার আড়চোখে
চেয়ে
ছড়িয়ে দেবে তার ধমনীস্পন্দের নির্বাক সম্ভার।
অসাধারণ, অমিত বাবু, যথারীতি! এমন লেখায় রোজই পুনর্জন্মের প্রথম দিন হতে পারে! যে আত্মমগ্নতা আপনাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা, তার কাছে আনত থাকে পাঠমুগ্ধতা। জীবনযাপনই এক অব্যক্ত রূপকথা, যার অনুভূতি মেঘ থেকে নেমে আসে অলৌকিক আলো...লেখার পর লেখায় এ কিভাবে সম্ভব, প্রিয় কবি!
ReplyDelete'ভাঁড়ে লপচু চা', যেটা কুইন খায়, থুড়ি পান করে? সেটা ভাঁড়ে? কি আবদার! পুনর্জন্মই বটে অমিত'দা! একরাশ ভালোলাগা!
ReplyDeleteআমার নাম রুমা, Unknown নয়। কি ঝামেলা!
Delete