March 28, 2021

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

 উদাসীনতার বিচিত্র ঈশ্বর                        


                              ১

এক একটা হৃৎপিণ্ড উল্টে মজা দেখবার নামই

হয়ত গনতন্ত্র, অথচ সংজ্ঞা লিখতে বললেই

সব বড় নাম।সেই একটা কথা,‘এক হাত কাঁকুড়ের

তোরো হাত ড্যাশ’ কথাগুলো কোর্ট এবং আন কোর্ট,

 প্রতিদিন ছাগলের এক নম্বর বাচ্চা সবার সামনে

কয়েক ঘন্টা পাগলামির সাথে সংসারের নামে।

দেশ চলে, দেখতে না পারলেও চোখ দিয়ে রাখি,

কারণ চোখের কোল ঘেঁষে একটা উপত্যকা চলে গেছে,

তার তীরে জমির আলপথ পেরিয়ে এক পা একপা করে

দেশ ছাড়ছে তুলসী তলা ভিটে মাটি। সব কিছু দেখে ভান

করে অনশন। গঙ্গা জলেও রাম মিশিয়ে পানের মধ্যেও

একটা ব্যাকরণ আছে। ঘুরতে পারলেই চুপ,

না পারলে চেটে চেটেই চটি পরিষ্কার।

যাত্রাপথের পিঠে হৃৎপিণ্ড কোমরে ফুসফুস টসটস

করে ঝরছে।কান্না এখনও স্তনের প্রত্যাশি।


                                  ২

তারপরেই যাত্রাপথ, জঙ্গল মানে এক একটা আস্ত আকাশ,

গিলে খাচ্ছে পাতার পরম্পরা, ভালো লাগা চাপানো থাকছে1

গোষ্ঠীর মঙ্গল গ্রহে।এই রকম কি আদেশ ছিল, কোণে কোণে 

লেগে থাকা অধ্যাত্ম তিলক,আর তার পাশ ফিরে খুঁজতে চাওয়া 

ঈশ্বরের পাথর বিগ্রহ দেখেই এক হাত চেষ্টা এখানেই নাম ধাম

আর গোত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা কোথায় বিশেষণ লাগে

কোথায় মুছে যায় মেঘ থেকে বৃষ্টি আত্মা।

                                        ৩

কাকে বয়কট বলে, জানা নেই কলার চার দেওয়াল

শুধু দরজা জানলা শরীরে আটকে থাকা টুকরো ফরাসি শ্বাস,

ঐ তো শহর পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জীবনী স্রোত, ফিরে যাব 

পাশ কাটিয়ে পৌঁছে আগুন আর ছাইয়ের ধ্বংসস্তুপ থেকে চিৎকার

আর মাথা কাটার একটা সমীকরণ থাকে, যেমন থাকে সেই গনগনে 

আগুন আর ধ্বংসপ্রপ্তি, যেভাবে মৃতদেহ বানানোর একটা কারখানার

আরেকটা নাম হয় ধর্ম, আর ফিরে তাকানোর আরেকটা পৃথিবীর বুকে

ঝরনার বারান্দা থাকে তার নাম ঘাস।

                                     ৪


যতই ঘৃণা হোক জানি সেই সন্ধিরেষ ছুঁয়ে যাবে ত্রিনাদ সকারে,

শরীর বর্ণময় তবুও উদাসীন উপাসনার কোল ঘেঁষে যে স্রোত খাবি খায়

তাকে ছুঁয়েই এই উত্তরের মাতৃ জঠর, যা ঘাম যা রক্ত যা কষ্ট

যা ক্লেশ সবই শিবমস্ত গিলে খেয়েই তিনধাপ, পুড়ে যাক আমার

শরীরের কোণ, অকার উকার মকার তারপর আমার থেকে বিভাজিত

আমি যোগ বিয়োগ গুন ভাগে।শেষ নেই শুরুর মাঝে আরেক

নতুন রাস আর জন্ম।

                                        ৫

ভগ্ন শরীর ঢাকা ঠাণ্ডা কানের ভিতর থেকে ছবি স্রোতে

কে বলেছে ভোর হয়নি, শরীরের বাঁ’দিকে অন্ধকার নামে

ডানদিক কার্টুনে ঈশ্বর। না এখন ও পর্যন্ত মেঘ পোড়াতে হয়নি।

দিব্যি বৃষ্টির ফোঁটায় শরীরের গ্রীষ্মকালে ফুল জন্মায়।

গাড়ি পোড়াইনি কোন আগুন স্রোতে,  শুধু নিজেরই ছাই,

আমি তো শুদ্ধ, চুপ নয়।পাশের দেশে লাগিয়ে দেওয়া আগুনের

আঘাত, শরীর ঠাণ্ডা তবুও ওদেশে চেয়ার আছে,

ফুল ফল রক্ত কঙ্কাল, ভালো থেকো আমার শরীরে ছাই,

ভালো থেকো মন মেজাজ, ধন্যবাদ এখনও পোড়াতে শিখিনি বলে।






No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...