দিনশেষে বুঝতে পারি পুরো দিনটি বৃথা কাটিয়েছি।এমনি করে কতগুলি দিন পেরিয়ে গ্যাছে, কত রাত পেরিয়ে গ্যাছে
তখন ভাবা হয়নি এতকিছু কিন্তু এখন ভাবতে সাহস করি।
ক্লান্তি বলতে শরীর যা বোঝে তার চেয়ে বেশি মন বোঝে;
আমি বুঝি হতাশা, হতাশারও একটা নিজস্ব টান আছে–
প্রতিটি অন্ধকারে হতাশাই পাশে থাকে কেবল আর থাকে তারা যারা সহানুভূতির পর্দা চাপিয়ে পিঠে হাত চাপড়িয়ে উপদেশ দেয়।
আমার নিঃস্বতা দিনে দিনে আমার চেয়েও বেশি আমাকে আপন করেছে, এখন টবে লাগানো ফুলগাছে হাত দিতে ভয় করে। যদি ফুলটি মারা যায় !
সমস্ত রাত একলাটি জেগে থাকি জানালা বন্ধ করে
কোনো আলো কোনো জোনাকি কোনো স্বপ্ন আমার জন্যে অপেক্ষা করে না জেনে ঘুমের চেষ্টা করি। সেই মুহূর্তে মানসিক ক্লান্তির চেয়ে বড় আপন আর কেউ হয় না। আমি অঘোর আত্মচর্চায় মগ্ন হই,
জানালার রড বেয়ে আমার ঘরে এগিয়ে আসা অর্কিডটি অপেক্ষা করে কখন সূর্য উঠবে, বিড়ালটি ঘুমিয়ে থেকে স্বপ্নে চমকে চমকে ওঠে, আমি সব বুঝি স্নেহ-যত্নে। কিন্তু তাতে কি আমার শান্তির কোনো সুরাহা হয়?
আসলে প্রতিটি আপেক্ষিক প্রেম নিজেকে নিয়ে গড়ে ওঠে
যেখানে ক্যালকুলাস বোঝার চেয়ে সূর্যমুখীর আলোকপ্রেম বোঝা কোনো অংশে কম জটিল নয়।
No comments:
Post a Comment