December 27, 2020

শঙ্খ চক্রবর্ত্তী

 অ্যানাটমি

আমার অর্ধেক দিন কেটে গ্যাছে জানালার ধারে বসে এলিয়ে থাকা রোদের গায়ে মাথা বিছিয়ে দিতে। চোখে ছায়া পড়লে রোদের সাথে লাবন্যতা ঘনিষ্ঠ হয়...

দিন গড়িয়ে এলে আমার বেড়ালটি আসে আমার ফেলে দেওয়া মাছের কাঁটা ঘিরে পিঁপড়ের আনাগোনা দেখে জীবনের সারমর্ম বুঝে নিতে। তারপর পাখিরা ঘরে ফিরে আসে এবং আমি উপলব্ধি করতে পারি তাদের সারাদিনের চাঞ্চল্য সেরে বাড়ি ফেরার আনন্দ।

যা আমি ফেলে এসেছি আটটি বছর আগে আমার স্কুল পালানো দুপুরের শেষে
যা আমি নষ্ট করেছি প্রেমিকার নাভীমূলে রক্তচুম্বনে ভেজা গোলাপ রাখতে গিয়ে– কবিতা লিখবো বলে।

অথচ এই করতে করতে আমার ঘরে রাত্রি নেমে এলেও আমি চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে শুয়ে থাকি
কখনও কুয়াশায় গলা সকাল থেকে বেরিয়ে আসা রোদের আত্মতুষ্টি দেখবো বলে। তখন এতো মানসিক বাহার ও আড়ষ্টতা থাকবে না। আনন্দ বলতে তখন অলস দুপুরে চাঞ্চল্যহীনতার দায় মাথায় না নিয়েও প্রেমিকার ছবি এঁকে কাটিয়ে দেওয়া যাবে।
কবিতার কাছে মাথা নত করে শিখে নেওয়া যাবে, কবিতা লিখতে গেলে প্রেমিকার ঠোঁট ও নাভীমূল জরুরি নয়।







No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...