December 27, 2020

বৈদূর্য্য সরকার

 অতীত ট্যুর 


আমাদের অতীতে কুয়াশা ভবিষ্যৎ অন্ধকার
কেঁপে ওঠা পথে চিবুক ছোঁওয়া রাতে
স্বমেহনে ঠকে যাওয়া জীবনে দন্তশূল জাগে
গভীরে কাঁপন, ডিসেম্বরের সন্ধেয় মনে হয়
কোথায় কে যেন ফিরে ফিরে ভর সন্ধেয় গাইছে
'প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে'। 

সকালে কুয়াশা থেকে বিকেলের ক্ষত
সন্ধের প্রদাহ রাতের জোনাকি আকাশ ভরা তারারা...
কোথাও না গিয়ে এবছর স্মৃতিতে ভেসে বেড়ানো। 

জঙ্গলে সেবার আদিবাসী ধনুকের ছিলা থেকে
ছুটে গেছিল পাগলা ঝোরা, মাওবাদী ভয় ভুলে
মহুয়ার খোঁজে ছুটেছি বেতলা থেকে ঘাটশিলা,
আমরা আগুন জ্বেলে ঝলসে নিয়েছি
হাট থেকে কেনা দেশি মুরগির মাংস
শীতের রাতে সুবর্ণরেখা আমাদের বলেছিল
এভাবে গোপনে শেষ দেখা... এরপর থেকে এসো
সাজানো সংসারী হয়ে, তারপর যাওয়া হয়নি ।

ফাল্গুনে হাজারিবাগে পলাশের জঙ্গলে দেখেছি
প্রকাণ্ড মৌচাকে ঝুলে আছে যৌবনের অস্থিরতা,
তাতে ঢিল মারার চেষ্টায় কেটে গেল বছর দশেক। 
তারপর আমাদের মহামারী এল, সংসার সাগরে 
কোনওরকমে ভেসে থাকার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া,
সব ভুলে আজকাল বিষন্ন সন্ধেতে
ঘরে বসে কালো কফি পান আর অতীতচারণ। 








No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...