October 25, 2020

পূর্বাশা চক্রবর্তী

আসলে রোদের উঁকি


আকাশ ছোঁয়া এক একটা বাড়িকে কংক্রিট ভাবেনি

ভাবেনি কারণ শক্ত শিকড় আঁকড়ে থাকতে হতো,

সেই জীবনের বন্ধ কাঁচে কালের প্রকোপ এলে

জীবন নামের অদ্ভুত জীবের বাঁচতে শেখার মতো!


জলের বিন্দু ফোঁটায় মাপে তবুর প্রশ্ন খোঁজার

রাতের কাঁটায় ভাসিয়ে প্রলাপ কিসের থেকে বাদ?

সব মানিয়ে ইটের ঘরে আবার প্রশ্ন জাগে

আবার যদি জড়ায় তাঁরা শিকলের আহ্লাদ!


শক্ত ইটের গঠন বাড়ির বারান্দাতেই ঠাঁই 

অদ্ভুত এক গন্ধ শিকড় যত্নে থাকুক পাশেই,

অকাল ক্ষত জানিয়ে গেল আবার হবে দেখা

প্রলাপ আঁকা আঁচড় কাটা ভাঙা ডানায় হাসেই!


খাঁচার পাশে খানিকটা খাদ ওইতো আকাশ সেথায়

পাখির মতো ক্ষীপ্র ডানায় উড়তে এলেই ভোর,

আনাচেকানাচে প্রলাপ ভাসে নজর হলেও ক্ষীণ 

বাধ্য ডানায় জাগবে না মোর বহিরাগতর জোর!


ইচ্ছেগুলোর কংক্রিটে ভয় সামলে রাখার দায়

হঠাৎ করেই বলতে থাকে স্বরের কাঁটায় ঝুঁকি,

নিয়মগুলো গলতে থাকে মোমের শিকড় মাপে

বারান্দাতে আবার কবে আসবে রোদের উঁকি?


গুছিয়ে রাখে খানিকটা রঙ ছোট্ট বাক্স কাঁচের

ইচ্ছেগুলো রাখবে তাতে অপেক্ষাদের ছুটি, 

জীবন যেদিন বাঁচতে শেখে সেদিন শিকল বোঝে

অভিমানরাও জমবে সেথায় আসলে রোদের উঁকি।

                                       

No comments:

Post a Comment

গুচ্ছ কবিতা।।তৈমুর খান ।।

সমস্ত যুদ্ধের পর   অনেক মৃত্যুর পর এই বেঁচে থাকা  হেসে ওঠে মাঝরাতে  কোনও পিয়ানোর সুরে  খোলাচুল উড়ে আসে তার  বুকের ভেতর থেকে জ্যোৎস্নার ফণা ...