জমা লহরী, অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ
অন্ধকারে যখন বরফ জমে সেই লেকে, স্তব্ধ স্রোতের বাতাস
একটু গরম থাকে, জমা জলের লুকোনো তাপ পেয়ে।
এই ধরণের উষ্ণ বাতাসে আমি চাইলেই ভাসতে পারি
প্রাচীন কামানের মত, বারুদ নেই, গোলাগুলি নিঃস্ব,
শুধু দর্শক মাতানো সংবাদ এখন, সার্কাস সার্কাস।
প্রতিটি জমা লহরী এখানে এক ধরণের সঙ্গীত,
সেই যে তুমি বলেছিলে সামারে, পালগুলো খুলে নাও
রঙচটা নৌকোটার, নিষ্ক্রিয় ঘুরুক সে এবার এলোমেলো –
সেই সব অন্তরঙ্গ, ঘনিষ্ঠ কথাগুলি ইনকিউবেট করেছে
বুকের গরমে, পুঙ্খানুপুঙ্খ সাজানো আছে এখন
তুষারলিপি সঙ্কেত বা তথ্যের বাহারে। শব্দ এখানে দ্রুত যায়,
ভাষা টপকে, উপভাষা, ডায়ালেক্ট, বাগধারা টপকে
দ্রুত যায়, আচমকা হামলা আসে ইমেজারি সংলাপ
অথবা আর্তির। ডেসিবেল আবার বাঁধ পেরোয়,
বালির বস্তা, লেভি ছাপিয়ে।
এ অঞ্চল তাহলেও আমার খুবই প্রিয় রয়ে যাবে,
জমা লেকটিও দেখি বন্ধুসুলভ,
তার নাম রেখেছি দধীচি।
No comments:
Post a Comment