বাবা
আমি আক্রোশে ভেঙেছি তাঁর একমাত্র ছবি
কেন তুমি নিয়ে যাওনি মাঠে, পেলে যখন খেলতে এল
ইডেনে? কেন তুমি নিজস্ব পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত, চলে গেলে
ধ্বনি শুনে স্বর্গের গেটে, না কি লোভে পড়ে পারিজাত ফুলের?
কেন তুমি বুকে তুলে নাওনি ধড়
চমকে ফেলে দিলে মুন্ড ভুমিতে ধুলোয়
মেঘকালো সেই আজগুবী সন্ধ্যায়?
ফিরে এসো বাবা, আমি তো এখন তোমারই বয়সী, কবে থেকে
ভাঙছি তোমার ছবি, কেন তুমি একটুও অস্থির নও,
চলে গেছ কতদিন আগে, ছ’ বছর বয়েসে, বাবা,
এখন স্বপ্নে এলে তো আর চিনতেও পারব না।
ওঃ! এক তীব্র অভিঘাত রেখে যাচ্ছে যে কারণ, স্নায়ুতে নিবিড় কাঁপন ধরিয়েছে যে হাওয়ার রচিত সাততার, তার কাছে নতজানু থাকি, তার কাছে বিবাগী হওয়ার হাতছানি, মন পেতে রয়েছে সাঁকো হয়ে চৈতন্য স্রোতের এপাড় ওপাড়...এক ভয়ঙ্কর নিক্ষেপে আমার এই অকিঞ্চিৎকর দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, আমি আবার গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি না, অন্তত আত্মসমীক্ষার একটা যুৎসই অজুহাত খুঁজে পাওয়া গেল। অমিত দা, আপনার এযাবৎ লেখালেখির মধ্যে এ লেখা অন্যতম সেরা। অপূর্ব! অপূর্ব! অপূর্ব! আপাতসারল্যে রেখে দেওয়া গভীর দর্শনের স্পষ্ট ইঙ্গিতের মায়াবলয় ছাড়িয়ে এ লেখা যে অলৌকিক বাঁকের মুখে এনে দাঁড় করায় পাঠককে, তার সম্পৃক্তিসূচক শীর্ষ ছুঁয়েছে অভাবনীয়ের আদলে...ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteদারুণ তো!
ReplyDelete