দু'টি কবিতা
দশদিক
নিভে যায় সমুদ্র শরীর, আঘাতে জেনেছ পেলবতা
কী মৃদু নরম ব্যথা বয় হাওয়া দিলে খোলা জানালায়
হো হো করে ছুটে আসে যারা, তারা কোন প্রদেশের —
এমন উত্তুঙ্গ তেজী ঘোড়া যেন চুরি যাওয়া বালকেরা
এখানে এসেছে ফিরে। শোনো, তবে কি সরল বাতাসেরা
কানে কানে সেইসব ফিরে আসা বালকের গান গায়
আর ঝড়— বিবাহিত পালকীদের কথা বলে আমবনে
কুড়ানো নোলক বেজে ওঠে, যারা একা হয় বড় বেশি
স্বপ্ন দেখে ভয় পায় খুব, চেপে রাখা ঘন বাষ্পাকাশে
যেরকম বৃষ্টির খানিক আগে মেঘ মন দিয়ে কাঁদে
দশদিক পুড়ে যায়, পুড়ে যায়— বহ্নি, সূর্য, গ্রহ তারা
একা গাছ নম্র হয়ে শোনে, না বলা সমস্ত কথালিপি
অনুবাদ করে ফুলে ফুলে, না বলা গোপন দুঃখ ঝরে
পাতা হয় যুবক দুপুর
লেখা থাকে প্রাচীন বল্কলে
দহনের পর মানুষেরা ধোঁয়া হয়, ডানা পাবে বল
শিকার ও স্বীকারোক্তি
ঘুমের বিশেষ ক্রিয়াকলাপের মধ্যে দেখেছি অদ্ভুত
এক জীব স্নেহলালায়িত, ক্ষুধাতুর
যেন এক অতিকায় রাক্ষুসী স্বরূপা রাত রক্ত চুষে খায় আর
আমাকে হঠাৎ নিয়ে যায় মৌন সমাধিতে
লক্ষ-লক্ষ শব থিকথিকে জীবাণুর ভিড়ে বলে
মৃতের সন্তান এসো, হনন শেখাই
প্রবঞ্চক, কৃতঘ্ন, গোঁয়ার,
তুমি কী জানো না, নৈরামণি পাখিটিকে পুড়িয়েছ গতকাল
তার মাংস, হাড় লহু, মসৃণ ডানায়
নিহত করেছ ভাষা, আমাদের অলিখিত ইহ পরকাল...
পড়লাম লেখাগুলো।
ReplyDeleteখুব ভালো কবি....
ReplyDelete