মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম
দ্বিধাগ্রস্ত  সূর্য 
সূক্ষ্ম কুয়াশায় পৃথিবীর ত্বকের ওপর  
আমাদের আস্তানা 
মর্মর মূর্তির নৃশংস বিশ্রাম
যখন রাত্রিতে নিঃশব্দে আমাদের হাতে 
উঠে এসেছে অসংখ্য নক্ষত্র
তারপর আমরা গরীবদের শেষ ঘরগুলো 
পর্যন্ত হেঁটে যাই
আর আলোর গায়ে হাত দিই
শেষ পর্যন্ত আমাদের চলে যাওয়া কেউ 
এঁকেছিল কিনা জানিনা
         
বহমান হাত
যখন কোনো বহমান হাত পৃথিবীর সব 
নদীগুলোকে অতিক্রম  করে চলে যায় 
আমি ভোর পর্যন্ত জেগে থাকি 
নক্ষত্র পল্লী  থেকে বেরিয়ে 
রাত্রির পলি গুলো সরিয়ে 
পাহাড়ের মতো মায়েরা নেমে আসছে 
তাদের সন্তানদের জন্যে
যুদ্ধ আর লোহার মতো বেঁচে থাকা
বজ্র বিদ্যুতের গায় শিরা উপশিরা
ঝড়ের গরম হৃৎপিণ্ড
মধ্যরাতে মেঘ করেছিলো 
আর কর্কশ নিদ্রার ফাঁক গুলো দিয়ে 
ঢুকছিলো দুঃস্বপ্ন
নিরীহ পশুদের সমাধির মতো 
এখন নদী গুলো
আর আগ্নেয়গিরির বৃষ্টি সূর্য
আমাদের অশ্রুগুলো যখন দাবানলের মতো
তারপর উড়ন্ত শকুনের জমায়েত
শূন্যের মুখে আমরা ঢুকিয়ে দিয়েছি জাহাজ
আমাদের শিশুরা উলঙ্গপনা হয়ে ঘুরছে শীতের চাঁদে
আর আফ্রিকার একটি মানচিত্রের মতো আকাশ
চোখের ভেতরে খোদাই করা অদৃশ্য
স্পর্ধিত কানে গুঁজে রাখা নৈঃশব্দ্য
আর হাতের বাহুর নৌকা 
নিরুদ্দেশ হয়েছে সেই সব মনুষ্যত্ব  যারা কিছুই  জানতো না ঈশ্বরের জলবাহকদের সম্বন্ধে
কত হাত
ক্ষুধার ফেনা থেকে গড়ে ওঠা  পান পাত্রের মতো  
ভেসে চলেছে নদীগুলোর আগে আগে